রাজশাহীতে চাঁদাবাজি, প্রতারনা করে পেট চালাতে মরিয়া কথিত সাংবাদিক চক্রের মানববন্ধন

রাজশাহীতে চাঁদাবাজি, প্রতারনা করে পেট চালাতে মরিয়া কথিত সাংবাদিক চক্রের মানববন্ধন

ছবিগুলি ফেসবুক থেকে নেওয়া

রাজশাহীতে চাঁদাবাজি আর প্রতারনা করে পেট চালাতে  মানববন্ধন করেছে কথিত সাংবাদিক জুয়েল-পুলক-রেজাউল সিন্ডিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে চাঁদাবাজি আর প্রতারনা করে পেট চালাতে মরিয়া কথিত সাংবাদিক জুয়েল-পুলক-রাজ্জাক ও রেজাউল সিন্ডিকেট। সম্প্রতি এম এ হাবিব জুয়েল ও কসাই মোমিন টাংগন এলাকায় মাদক মামলা থেকে নাম কাটানোর কথা বলে  দু’জন যুবকের নিকট থেকে নগদ ৮৪ হাজার টাকা হাতিয়েছেন। পরে তারা ওই এলাকায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে ভূক্তভোগীরা কাটাখালী থানায় মামলা করে মামলা নং – ১৪। এ বিষয়ে একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর আগে গত (২২ জানুয়ারী ২০১৯) সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর সিপাইপাড়া ফায়ার সার্ভিস মোড়ে ভূয়া সাংবাদিক ও চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে এমএ হাবিব জুয়েলের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেন, রাসিক ৯নং ওয়ার্ড এলাকার শতাধিক এলাকাবাসী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান তারা। এই হচ্ছে, এমএ হাবিব জুয়েল।

কথিত সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক নিউজের ভয় দেখিয়ে পবা সাব রেজিস্ট্রার মিলি বেগমের নিকট ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। সে বিষয়ে দৈনিক সোনালী সংবাদ ও দৈনিক সানশাইন পত্রিকাসহ একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ বায়া ভুগরোইল এলাকায় নিউ রিলেশন কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারি ঠিকাদার এএফ আজাদুল ইসলাম নতুনের নিকট নিউজের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। এবং ঠিকাদারের ধাক্কা খেয়ে পালিয়ে যায়। সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আকারে ভাইরাল হয়।

তাদেরই সিন্ডিকেটের তিন সদস্য ভূয়া ম্যাজিট্রেট পরিচয় দিয়ে বাগমারা থানা এলাকায় একটি বেকারীতে চাঁদাবাজির করার সময় জনতার হাতে আটক হয় ৩জন কথিত সাংবাদিক (বর্তমানে কারাগারে)। সেই সংবাদটিও একাধিক দৈনিক পত্রিকা ও প্রায় ৩০টির ও বেশি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তাদের কারামুক্ত করতে রাস্তায় নেমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছে এই জুয়েল-পুলক-রাজ্জাক-রেজাউল চক্রটি। সাথে যুক্ত হয়েছে নগরীর বিখ্যাত জুয়াড়ী ও মাদক সেবিরা এবং না জানা কিছু ভাড়াটিয়া মহিলারা।

বিশাল বলেন, তাদের মতো আমাদের অপরাধ দেখাক সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দেবো। আমাকে মূর্খ ও বাসের হেলফার বলছে তারা। আর আমার মৃত পিতাকে বলছে বাসের ড্রাইভার। আমার পিতার গাফ্ফার এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল। তিনি একজন ফুডের (খাদ্য) নিয়মিত ঠিকাদার ছিলেন। আর আমার পরিবহনের ব্যবসা ছিল এবং কিষাণ পরিবহনের ম্যানেজারের চাকুরী করতাম আমি। পাশাপাশি বরেন্দ্র কলেছে লেখাপড়া করতেন তিনি। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করে অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবি করেন সাংবাদিক বিশাল।

দৈনিক উপচারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরে ইসলাম মিলন বলেন, ইতি পূর্বে জুয়ার বোর্ডের সংবাদ প্রকাশ করায়। সপুরা এলাকার জুয়াড়ীরা আমার ভাতিজা সাংবাদিক অন্তরকে গুলি করে। এবং পিস্তলসহ সবুজ ও আরিফ নামের দুইজন সন্ত্রাসীকে পুলিশ হাতে নাতে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে আমি বোয়ালিয়া থানায় মামলা করি। আর এ কারনে জুয়ার আসর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে যায়। এরই জেরে কথিত সাংবাদিক চক্রের প্ররোচনায় সন্ত্রাসী সবুজের আপন বড় দুই ভাই তারেক ও আরিফ তাদের অর্থায়নে ও সহযোগীতায় আজ রোববার (২১ জুলাই) রেলগেটে জুয়েল-পুলক-রাজ্জাক ও রেজাউল সিন্ডিকেটের সাথে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধন থেকে মানহানিকর বক্তব্য দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তারা রাজশাহীর একটি পত্রিকারও সাংবাদিক না। তারা কোন প্রেস ক্লাবের সদস্যও না। উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে লিখে জুয়েল। কিন্তু সেখানে কোন আপডেট নিউজ থাকে না। বিশেষ করে তার অনলাইনে পুলিশ, ডিবিকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্যই জুয়েল এ পোর্টালটি ব্যবহার করে থাকে।

রেজাউল আভা টিভি ডট কম নামের একটি ফেস বুকে লিখে। তার নামে ৫টির ও বেশি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। এর আগে রেজাউল কলোনীতে চুমকি হিজড়াকে দিয়ে ইয়াবার ব্যবসা চলানোর অপরাধে এলাকাবাসী তাকে গনধোলাই দেয়। পরে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

পুলক একজন সাবেক রংমিস্ত্রি পুরো পরিবারসহ তারা জামায়াত সংগঠনের সাথে জড়িত। সে নিজে বিএনপির নামধারী ক্যাডার। স্কুলের গন্ডিপেরুয়নি পুলক। সম্প্রতি সে ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাতৃজগত নামের একটি অনিয়মিত পত্রিকার কার্ড সংগ্রহ করেছে। পদবি রাজশাহী ব্যুরো ! পুলক, রাজ্জাক, আনোয়ার, মোমিন, কারোই সংবাদ লিখার যোগ্যতা নাই এরা গন্ডা মূর্খ। কথায় আছে, “এক বুড়ি আরেক বুড়িকে বলে মাহই” এরাই আবার কাজিম বাবুকে ৫ম শ্রেনী পাশ মূর্খ বলে। সত্য হলো কাজিম বাবু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন।

কাজিম বাবু বলেন, এদের সকলের মিথ্যাচারের বিচার হবে আদালতে । আগামী ৭ দিনের মধ্যে অপপ্রচারকারিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করবেন।

তিনি আরো বলেন, সংবাদ আর প্রতিবাদের কারনে এমএ হাবিব জুয়েল, মাসুদ আলী পুলক, আব্দুর রাজ্জাক, রেজাউল করিম, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোমিনদের মুখোশ খুলে গেছে। আর এ কারনেই এ চক্রটি চাঁদাবাজি আর প্রতারনা করতে ভয় পাচ্ছে ।

কারন তারা জানে এরুপ কিছু ঘটালেই পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হবে। আর এ কারনেই তারা নতুন কৌশল হিসেবে রাস্তায় নেমে পেশাদার সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানী, ইফতেখার আলম বিশাল ও রাজশাহী প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নুরে ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। 

মতিহার বার্ত াডট কম২১ জুলাই ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply